“স্কলারশিপ” একজন দরিদ্র ছত্রের ব্যায়ভার।

বিশুদ্ব ঈমান ও আমলের প্রতি সর্বোচ্চ গুরত্বারোপ করে যুগ চাহিদার আলোকে বিশ্বমানের শিক্ষার মাধ্যমে যোগ্য , দক্ষ আলেমে দ্বীন ও যুগ সচেতন দায়ী ইলাল্লাহ তৈরির লক্ষ্যে ২০২৯ সালে উত্তরার ১২ নং সেক্টরে প্রতিষ্ঠা হয় দারুল—আরকাম আল—ইসলামিয়া । এটি একটি সম্পূর্ণ এরাবিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠান। তিনটি শিক্ষা ধারার সিলেবাসের সমন্বয়ে প্রণীত হয়েছে এর সিলেবাস। আরবী ভাষাসহ অন্যান্য সকল বিষয়ে পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে মিশরের আলা আযহার ও আরব বিশ্বের বিভিন্ন শিক্ষা সিলেবাসের সাহায্য নেয়া হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানে আরবী ভাষার সকল দক্ষতার উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে। এটি বাংলাদেশের তিন শিক্ষাধারায় বিদ্যমান শূন্যতা পূরণে সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ। এই সিলেবাসে একজন ছাত্র লেখা—পড়া করলে, কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সকল সনদ অর্জনের পাশাপাশি সরকারী বিভিন্ন সার্টিফিক্যাট লাভের সুযোও থাকে এবং মিশরের আল—আযহার কর্তৃক স্বীকৃত উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিক্যাটও লাভ করে, যার মাধ্যমে আল—আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদে সরাসরি ভর্তি হতে পারে।

 

এ বছর আল—আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের চল্লিশ (৪০) জন ছাত্র ভর্তির সুযোগ পেয়েছে এবং তারা ফুল স্কলারশিপে নিয়ে আল—আযহারের বিভিন্ন অনুষদে অত্যন্ত সুনামের সাথে অধ্যয়ন করছে।

 

সাদকার মাধ্যমে আপনি যে সৌভাগ্যের অধিকারী হবেন :

দুনিয়াতে :

  • সাদকার মাধ্যমে আল্লাহ আপনার বিপদ দূর করবেন।
  • সম্পদে বরকত হবে।
  • অন্তর প্রশান্ত থাকবে।
  • কঠিন রোগ থেকে আল্লাহ রক্ষা করবেন।
  • অন্যান্য ইবাদের প্রতি আগ্রহী হবেন।

আখেরাতে :

  • সদকাহ রবের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করে দিবে।
  • গুনাহ মুছে দিবে।
  • জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির উপায় হবে।
  • হাশরের মাঠে আল্লাহর আরশের নিচে ছায়া পাওয়া যাবে।
  • সাদকাহ নামক দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য আমন্ত্রণ করা হবে।

 

সীরাত থেকে শিক্ষা

রাসুল সাঃ মদিনায় হিজরত করার পর পরই মসজিদ নির্মাণের উদ্দেশ্যে স্থায়ী জায়গা খেঁাজা শুরু করেন । একপর্যায়ে তাঁর ঘোড়া বনি নাজ্জার গোত্রের দুই ইয়াতিমের একটি খেজুর শুকানোর জায়গায় এসে বসে পড়ে । রাসুল সাঃ বললেন এখানেই মসজিদ নির্মাণ হবে, তোমরা বলো এই জায়গার মূল্য কত ? জায়গার মালিক দুই ইয়াতিম ও তার অভিভাবককে ডেকে আনা হল , তারা জায়গার মূল্য নিতে চাইলেন না বরং দান করতে চাইলেন কিন্ত রাসুল সাঃ ন্যায্য মূল্য দিয়েই কিনবেন , তাই রাসুল সাঃ তাদের কাছ থেকে বিনা মূল্যে জায়গা নিলেন না বরং ন্যায্য মূল্য দিয়েই তাদের কাছ থেকে জায়গা কিনে নিলেন । জায়গার মূল্য ছিল দশ দিনার । রাসুলের পক্ষ থেকে হযরত আবু বকর রাঃ এই মূল্য পরিশোধ করে ছিলেন। কিয়ামত পর্যন্ত মসজিদে নববীতে যত ইবাদত ও নেক আমল হবে তার সওয়াব পেতে থাকবেন হযরত আবু বকর রাঃ । সুবহানাল্লাহ!

প্রিয় দ্বীন দরদী ভাই ও বোনেরা !

রাসুল সাঃ এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরাও চাই দারুল আরকামের মসজিদ মাদরাসা প্রকল্পের জন্য জায়গা ক্রয় করতে আর আবু বকর রাঃ মত এতে অংশগ্রহন করবে দ্বীন দরদী সাধারণ মুসলমান ভাই ও বোনেরা । যারা কিয়ামত পর্যন্ত এই মসজিদ মাদরাসায় যত ইবাদত, কুরআন তেলাওয়াত ও নেক আমল হবে তার সওয়াব পেতে থাকবে।

Our Donors:

Share This: